কারামেন। জঁ লুক গোদার।মাই ব্লুবেরি নাইটস, ওয়াং কার ওয়াই। এক চ্যানেলে শব্দ এল, অন্যটা মা গা রে সা।। বত্রিশের ঐ মাথায় ফরম্যালিন মুক্তির পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম আমের হলদে রঙ, অন্তমিলে গাছের পাতার ভেতর। আমাদের রবিশঙ্করের মেয়ে সে ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেল জুনিয়ার ল্যবরেটরি ইস্কুলের সামনে সেই জন্য ডাবওয়ালা দাম বাড়িয়ে দিল পাঁচটাকালাল অলসতা
কিস্কিন্ধ্যা থেকে ফেরার পথে হলুদ রোদ্দুরকে আম-আম লাগলো। কোন একটা বাস সার্ভিস নাম দেখাল রাজশাহী, কি যে হসচ্ছে।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হাঁটলাম উনিশ অবধি। এদিকে আবার কাদারভাইএর ডিউ হওয়া চাপ আবহনী মাঠ পেরিয়ে উড়ে গেল সুগন্ধ বরাবর। ঝিরিঝিরি অশোক গাছ, আর এদিক ওদিক সাদা অ্যাপ্রন পরা মেয়েরা কতগুলো হাসপাতালের বোর্ডের সামনে দিয়ে হেঁটে গেল সারাটা দুপুর।
তার আর পর নেই, দুপুর শেষ হল কাঁচের ওপাশে, আর সেই আমগাছ যেটুকু নকশা দিতে পেরেছিল সব সমেত ঢুকে গেল বিচ সঙে। ক্যারাবিয়ান, হুলা লা লা হু লে ও। ফেসবুকে তখন দুপুর চলছে আমগন্ধহীণ। নো ভন ভন, মাছি-টাছি। বাগানের দিকে তাকাতেই দেখলাম সার সার রোদের কবর।
দুইদিন বাদে গরম উর্ধগামী। ঠেলার সাথে মাটিতেও বিছানো তরমুজ, ৮০/১০০, চার পাঁচটা ইন্ডিয়ান সবুজ বা ভিরিডিয়ান। কাজ না থাকলে মানুষের যা হয়, কিছুটা ধানমন্ডি ঘুরলাম রিক্সায়, জ্যামে জ্যামে তথৈবচ। বাকিটা তাই লম্বা সেই শার্সির ওপাশ থেকে, বিদায় ও শয়িত কবরের মত আরামে। ভাবটা, খুব স্মার্ট হয়ে যাচ্ছি দিন দিন, কাঁচের ভেতরে যে দেওয়াল আর রাস্তা; তাতে এখন আরো কিছু অ্যাপ্রন পরা মেয়ে, তাদের কিন্তু ডাক্তারই মনে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment