Saturday, September 09, 2006

সবুজ দ্বীপের রাণী



আসলে তোমরা যেটাকে সিগণ্যাল বলে ভাবছ সেটা আসলে কিছুই নয় ঠিক, বাইরে যেরকম ছড়ানো আছে সবুজ, সেই হিমশিতল জলে সেক্সপিয়ারের নারী ধীরে ধীরে ঢুবে যাচ্ছে ৷ আমার করুণা হয় সেই টাইমারের কথা ভেবে, নিকষ কালো অন্ধকারে লাল বাল্ব আর জেগে আছে জীবনানন্দের ছবি ৷ বিড়াল কখনও উঠবার চেষ্টা করে চেয়ার বরবর, কেবল আঁচড়ায়, জনান্তিকে ইঁদুরের কথা মনেও পড়ে না তার ৷

সবুজ সেই ঢেউ ছিল মানচিত্রের সীমানা বরাবর ৷ আমাদের মত ছিল কিছু জাল পেরনো মাছ ৷ দীঘল ঢেউ টানা সমুদ্র ছিল মানুষ বরাবর ৷ ধরি না মাছ ছুঁই পানি করে ছুঁইয়ে যেত, ভেঙে দিত বালির ঘরবাড়ি, কিহু সবুজ এসে ভেঙে দিলই বা, আমার করুণা হয় না ৷ আমার মনে পড়ে না সেই ক্যালেন্ডারের ছবি, রবীন্দ্ররচনাবলীর চতুর্থ খন্ডের মলাট ৷ আসলে কতগুলি ইউক্যালিপ্টাসের এফ টিভি মার্কা পাতা দ্রুত লুকিয়ে ফেলছে তার ক্ষত ৷

সবুজ ছিল তার পোষাক, তরমুজের মত গভীর তার শাড়ি ৷ আঁচল মেলে দিলে ফুটে ওঠে একাডেমি অফ ফাইন আর্টস, ধীরে ধীরে ৷ তার চুল, আমি জানি না কখন কুরুর সিংহাসনের চাইতেও তীব্র হয়ে ওঠে ৷ তার সেই চুল এমন, হাবে ভাবে একটা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একটা গাছকে নিয়ে চলে যায় ৷ গাছেরা পড়ে থাকে ড্রামের মত ৷ কিছু আওয়াজ , কিছু নাভি:শ্বাস জড়িয়ে থাকে সবুজ বর্ণের সেই এক শিফন শাড়ি যার নম্বর কেবল জানে সেই ডিজিটাল ডাইরি , যদিও তাতে ব্যাটারির কোন সাড়া নেই ৷

যে ক্রসিংএ এসে দাঁড়াতেন কমলকুমার, আমাদের স্বর্গবাসের প্রথম প্রহরের কথা মনে হয়, বাঁক খাওয়া যন্ত্রে নেওয়া হয় জুতোর মাপ ৷ চল্লিশোর্ধ নতুন গল্পকার বইয়ের তৃতীয় পৃষ্ঠায় ফোন নম্বর দেন এসটিডি কোড সহ ৷ কোন এক মফ:স্বলি বইমেলায় দেখা হয়, শুধু বইয়ের তাকবদল, এমনই বদলায় র ঙ, যে রাতে অনামিকা লেকগার্ডেন্সের বাড়িতে আসে, উষ্ণ রাতে তাকে গড়িয়ার অটোয় তুলে দেওয়ার সময় খেয়াল হয় কালো শালের গভীরের ক্ষত, আসলে আরও কিছু ধোঁয়া ঢেকে দিয়ে যায় সব, সেই গড়িয়ার বাড়ি, ফ্ল্যাটের দরজায় আটকে দেওয়া গ্লু লাগানো প্যাড, বাতাসে শুধু ওড়ে , যেন বাতাসই কেবল জানে উড়ে যেতে ৷ আরও কিছু পালক উড়ে গেল, তার র ঙ খেয়াল করলাম না শুধু মনে রইল উড়ে গেল এই বরাবর ৷

সবুজ অট্র কথা মনে হয়, সি এন জি লেখা, যেন তাতে ধোঁয়া নেই, কোন স্মৃতি নেই ৷ কেবল সবুজ আছে রুলটানা, এমন রাস্তা ; প্রত্যেক শহরেই এখন গড়ে উঠছে ফ্লাইওভার, প্রচন্ড ব্যস্ততায় চলছে কাজ, চলুক তাতে ক্ষতি নেই, যানজট, সবুজ গাছ ঢেকে যাচ্ছে ধুলোয় ৷ হারিয়ে যাচ্ছে কুয়াশায়, দীর্ঘ সবুজ বালি ৷

নয়ডা ৷ ৩৷২৷২০০৪

Sunday, July 02, 2006

বাউল


বাউল শুধু বাউল হয় না ৷ কতই পাখি উড়ে বেড়ায় সহজ জ্যামিতিতে ৷ মাছেদের সেই খেলা আঁকতে পারে ক'জনা ? আকাশে মেঘ উড়ে গেল , হাওয়ায় এমনি করে মাথা দোলালো কচি সবুজ ধানের পাতা, অমন বাউল হতে পারে ক'জনা ?


সুরের খেলায় হার মানে হারমনিয়াম, এমন ওঠাপড়া, সে তো রোদ্দুরেই খেলতে পারে ৷ জানালার পর্দা হঠাত উড়ে যায়, বোরখা সরলেও সরতে পারে কিন্তু শুকনো পাতা ঝরে না ৷ আসলে বহুবছর ঝরে যায় উত্তরার মত শুকনো পাতা টুপটাপ ঝরতে ৷ মরুভূমি থেকে কটা বালুকনা বা সরে হাজার বছরে ৷ শুধু বালি আর বালি ! তোমার ছিল মেঘ , সবুজ, নীল, সব ঘন রঙা শাড়ি ৷ শূণ্য টেবিলের চারদিকে একা বসে থাকা, ঘড়ির কাঁটা ঘোরার মত চারদিকে প্রখর অস্তিত্ত্ব ৷ মেঘে মেঘে খেলা হয়, জলে জলে বেলা ৷ উঠান জুড়ে তারে মেলে দেওয়া কাপড় জামা একসময় শুকিয়ে আসে, পাখি ঘরে ফেরে ঢেউ ফের ওল্টায় ৷ মাটির পরে বালি আসে, বালির পরে মাটি ৷ শাক বারে বারে ধুয়ে বালি নিষ্কশিত করে যতটুকু আনন্দ পাওয়া যায়, আরও হরিদ্রাভ গভীর কিছু , চাই তো বটে কিন্তু কোথায় ?


সেই প্রখর জলের মধ্যে এক দ্বীপ, বড় বড় সবুজ পাতায় ঘেরা, আর কিছু দেখা যায় না সেখানে ৷ তীব্র পাখির আওয়াজ ৷ কত মাছ আলাপ করল না পড়শীর সাথে, ঘুরপাক খেল শুধু, ক্যালেন্ডারের তারিখের মত উল্টে গেল ৷ গোয়ালন্দ ছেড়ে আসা ষ্টিমারের উপর ঘুরে ঘুরে গান গায় সেই পাগল বাউল , যে জানে না এ ষ্টিমার আরিচা ভিন্ন অন্য কোথাও যাবে না, অথচ সেই অন্য ঘাটেই তার সন্ধান ৷ গেলই বা উড়ে কিছু পাখি, মেঘ যেমন তেমন ৷

নয়ডা ৷ উত্তরপ্রদেশ ৩৷২৷২০০৪

খাঁচা


চারপাশে কতগুলো খাঁচা নিয়ে মহিলা বসে আছেন উত্সুকচিত্তে ৷ খাঁচাগুলো থরে থরে সাজানো অনেকটা ঘাসের মতন ৷ চারপাশে এত চিত্কার আকাশ চোখেই পড়ে না ৷

বেশ কিছুদিন আগে সবুজ রঙ করা হয়েছিল খাঁচাগুলোতে, কালান্তে সেটা বোঝা গেলেও খুব বেশি রঙ আর বেঁচে নেই ৷

আসলে বেশিরভাগ খাঁচার ভেতরই টিয়া, খাঁচাগুলো তাতেই কিঞ্চিত সবুজ হয়ে থাকবে ৷ কোথাও মস্ত রুটির ঢাকনার তলায় ফুটফুটে দুটো সাদা ইদুর ৷ কয়েকটা খরগোশ ৷ খরগোশের বাচ্চারা ঠান্ডায় একসাথে চুপটি করে বসে ৷ কাঁপছে, ক্রমাগত উত্তেজনায় যেমন কাঁপে উরু ৷


চারিদিকে থরে থরে সাজানো খাঁচা ৷ আসলে সেগুলো লোহার কিছু তার , সোজা, বাঁকা বা এমনটাই রুলটানা খাতা যেন ; অক্ষরের যেমন নিয়তি তাতে আটকা পড়া, কিংবা সবুজ গাছ কিছুটা নিরাপদ মনে করে এমনি বেষ্টনির আড়ালে ৷ কতগুলো লোহার লাইন, সোজা কিংবা বাঁকা - তা বই তো আর কিছু নয় ৷ খরগোশেরা নিরাপদ মনে করে না, ঠিকমত জানেও না তারা খাঁচার বাইরে আছে না ভিতরে ৷ সেই মহিলাও একরাশ হৈ হট্টগোলের মধ্যে চারপাশের চারপাশের খাঁচার দূর্গ ঝুলিয়ে বসে আছে স্থির ৷এমন মহিলার মুখ স্পষ্ট করে মনে পড়ে না, তার শাড়ির রঙ ও নয় ৷ তবু খাঁচাগুলোর রঙ সবুজ বলে মনে হয় ৷


সেই খরগোশগুলোর কথা মনে পড়ে ৷ কুকুর শিয়ালের তাড়া খেয়ে ছুটেছিল দিকভ্রান্তের মত ৷ জন্গলে এমন প্রাণী কতই তো মরে ৷ এ ওকে না মারলে তো ইশেসিষ্টেমের দোহাই ৷ এই রকম দু'চারটে খরগোশ ব্যস্ত শহরের খাঁচায় ভরে না রাখলে কথামালা পড়া শিশুরা , আমার মত, জানতেও পারতো না খাঁচা জিনিসটা খুব একটা জরুরি নয় ৷ সবাই খাঁচায় থাকতে বেশ ভালো বাসে ৷ খরগোশের চোখে দেখলে একটা খাঁচার মধ্যে এতগুলো মানুষ, ব্যস্ত শহর, মস্ত বাজার, হাঁটা-চলা, হট্টগোল, ভুলে যাওয়া আকাশ ৷ খাঁচার বাইরে গুটিসুটি মারে থরথর করে কাঁপা খরগোশের বাচ্চা ৷ কেবল এবং নিরাপদ ৷


নয়ডা, উত্তরপ্রদেশ ১৷২৷২০০৪

Saturday, June 17, 2006

যা খুশি তাই


December 26, 2005/siliguri

সমুদ্রে যা খুশি ঢেউ উঠুক, আকাশ যা খুশি মেঘে সাজুক, আমার কিচ্ছুটি বলবার যো নেই, যা খুশি তাই, যা খুশি তাই, যা খুশি তাই৷ এই ধোঁয়া, যা খুশি তাই উড়ে গেলি কেন রে? ফুল হতিস নাহয় প্লাষ্টিক, ভেলভেট, জ্যোত্স্না৷ বাল্বের ভেতর হেঁটে যায় সার সার উট, এক বালতি জলে, লাল বালতি, বাল্বগুলো ডুবিয়ে দাও, দেওয়ালে নীল রঙ ও মৌমাছির চাষ, গুড়ো গুড়ো বালি সিলভেস্টার সেলোন ও আফগানিস্তান, ডুবে গেল লাল বালতিতে৷ ফেনা সব প্রজাপতি, আরব সাগর তির, ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত্যুবান, রানী দেবে কেক বান পাউরুটি৷


পাখার একশ ব্লেড কুচি কুচি করে কাটে আপেলের এক দশমাংশ, অমিয়ভূষণ ছবি আঁকেন, পিপড়েতে খেয়ে যায় র আম্বার, ছিপ টানলে উঠে আসে জুতো, এখন বেশি টিভি চললে মশার জন্ম হয়৷ বগলে চেপে ধরছ সাঁড়াশি, বলছ ভিনদেশী থার্মোমিটার, আহা তার চাইতে রংচটা গিটার পিকক ব্লু ভাল নেলপলিশ কুমকুম নিয়ণের আলো৷ কুড়িয়ে এনেছ যত কাঁচ, ভাঙা চুড়ি লাল কালো নীল, ময়দা মাখো, র-ংবেরঙের রুটিতে ফুটে ওঠে কাঁচ, এই নাহলে বড়দিন? গার্ডার ইলাষ্টিক টেনে টেনে বাড়াও, গুলে খাও ইয় ংমডিউলাস, পিচের রাস্তা বরাবর ব্লেড দিয়ে টানা টানা দাগ কখন জেব্রা হয়ে ঢুকে গেছে তোমার সুইচবোর্ডে... এক পেন, ব্রম্মতালু, মাটি খোচানো গরুর শি গলছে, জ্বলছে মোমবাতি, উড়ে যায় ড়িদয়-হাড়৷ নাকফুল সাইক্লোন, স্মৃতির সরণিতে বাইসাইকেল চোর, অগন্তি তাকের থমথমে জেলি, মন সব ভুলে গেলি, এলিতেলি, নিশীথে না যাইও ফুলবনে, চুপচাপ, সুইচড অফ৷৷৷


সানলাইট ভিশন, লম্বা মই, বৈরাগী জামা, এরকম তো কুড়িয়েই থাকি, কুড়িয়ে বাড়িয়ে,টেলারি ংশপের ঝাটানো মেঝে, বেলফুল ছাদ টব, রেডিও, খসে পড়া, বাবুইএর বাসা, খাসা পরিপটি সংসার৷ দুধে গোঁফ চমত্কার দুঁদে গোয়েন্দা পরিহার , চিষনহার, রবিবার, শীতল পাটি, খুনসুটি, তুমি কার কে তোমার ...


দরজায় কড়া নড়ে, চৌকো ঘুড়ি দুধের সরে, নিচু স্বরে, বারো চাকা , সাইকেল, থিন অ্যারারুট, ভিজে বুট, গ্যামক্সিন,চার্লি চ্যাপলিন, ঘড়ি সেদ্ধ, গোল্ডরাশ, উল্টোদিক, বি সি সেন, অ্যান্টেনা, দুটো কাক, মুর্গি লড়াই, ঘাসফুল, কানে দুল, ছোট্ট ইদুর, কারিনা কাপুর...


মস্ত এক নারকোল গাছ, লাউডস্পিকার, বক্সি ংরি, ংহি ংপি, ংছটপূজো, গঙ্গার ঘাট, বালাই ষাট, মস্ত বিছানা, উরিব্বাস, জোনাক জ্বলে, কদমতলে, লাল কম্বল ছাড়ো বাস, দীর্ঘ:শ্বাষ, অর্ধ গোলার্ধ, খন্ড চুমু, মতি-কুমু ট্যান ব্যাসার্ধ, হাতের ভিতর, দাড়াস সাপ, বাপ রে বাপ, ফিতেয় টান, ফেলল ছুড়ে, খাটের পরে, যেমন তেমন, উটের পিঠে, বৃহষ্পতি চলে, রঙ্গে রঙ্গে, আমার বঙ্গে, হে গঙ্গে, ধরাধামে, ধরিতে চাও, জামার বোতাম এই খুললাম, শরীর গভীর, নীল নদ তীর, ফর্দাফাঁই , ফ্যাত্ ফ্যাত্, সাই সাই ...


সব গুবলেট, পোচ ওমলেট, কাকের ডিম আমার মাথায়, সখী কয় ...
জানিনা৷
জানিনা৷
জানিনা৷
জানিনা৷

কি হচ্ছে? চারটের পর কি হচ্ছে?
হুঁ৷
দাড়ি৷
দাড়ি৷
আবার৷ বল?
আগের লাইনটা শেষ হয়নি, ইনকমপ্লিট ...

ঘুষোঘুষি মহীরাবণ, পানে চুন, বটতলা, লিথোপ্রেস, পকিআ, গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব, লোপামুদ্রা, বছর শেষ, বছর নয়,বাংলা বছর, দাউদ খবর, বৌবাজার, জানুয়ারী, ফাটা হাড়ি, নলবন, সেলোফেন, হারিকেন, জ্যান্ত ফসিল, বাংলা ব্যান্ড৷

ঘুমচোখ, সর্বনাশ, চোয়া ঢেকুর ফাটাফাটি, লজ্জ্বাবতী, ঝিচ্যাক, আটা নুডল, দ্রামা দ্রামা, দ্রিমি দ্রিমি, রিমি সেন,ফাজলামি, নারকেল তেল, মা-মেয়ে, চুল টানাটানি, সব জানি, সালতামামি, সেই সুনামি ৷

সুমেরু

রাধার আর বাঁশি শুনে কাজ নাই


December 24, 2005/ siliguri

...সাপ,দীর্ঘ ঘুমের ময়াল সাপ কেন খোলস ছাড়ে, দীর্ঘশ্বাস, খোলস বা খোলনলচে পাল্টে আপাতত পিচের রাস্তা, আরে যত রামকুমারের ল্যান্ডস্কেপ দেখি, সুনসান, রাস্তাতেও অলক্লিয়ার৷ হ্যাঁ সব রাস্তাই এখন স্মৃতি৷ স্মৃতিমানকালে সাজিয়ে দেওয়া মার্কাগুলি, হঠাত্ জমে ওঠা দেশলাই খোলগুলি, জাহাজ পুকুর বা দুধেল গাই, আমি যে রিক্সাওয়ালা গো৷

স্মৃতি তাই পাহাড়, দুরে সাজানো সন্দেশ, থরথর, মরুভুমি আলোকপ্রাপ্ত হয় তপ্ত হয় এমন উদ্ভাসিত স্মৃতি পরজন্মের জন্যেও তোলা নেই কোষাগারে, কূবের সন্ত্রস্ত হন, বিকষিত হেম, হেম ফোঁড়গুলি, পাহাড় সূচিত হয় সুতির চাদরে৷ বিরল মেঘগুলি আনাগোনা করে, পাহাড় কেবলই স্মৃতি, দীপশলাকা অগ্রভাগে চুম্বন করি এসো, ক্ষণ তিষ্টকাল, উড়ে যাক ধবল বক ঐ জেট গতিপথে, মায়াচ্ছন্ন নীল, সাদা ধোঁয়া তুলি টান, খানখান, ছিটানো, অস্থির, চোখগুলি৷


চোখ 2000

... চলচ্চিষন উত্সব চলছে, হেঁটে হেঁটে বেকবাগান অব্দি যাব, স্কাই বাংলার অফিস সুতরা ংযাষনাপথ টানেস্কু প্রবল, সংকোচের ও বিহ্বলতায়, এডিটিং কক্ষের ঠিক বাইরে একাকি শয্যায় শ্রীরাধা৷ তার পেটটা কি ভয়ানক কামড়াচ্ছে, সেরাতে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নাকি কোন উপায় নেই৷ উপায় নেই, উপায় নেই৷ এডিটিং ? উপায় নেই , উপায় নেই৷ কি কাজ, এডিটিং রুম, শব্দে শব্দে এ সি, কুমির-ডাঙা, উপায় নেই, উপায় নেই৷ সেই রাতে, উপায় নেই, উপায় নেই৷
বসে থাক, দ্যাখো রে নয়ন মেলে, বস্তুত, উপায় নেই, উপায় নেই৷ মেলতে গেলেই আয়তক্ষেষন, তার নীলরংআ শাড়িটি কেবল আকাশ বলেই ভ্রম হয়, দেহাংশ রাতের তারা বিজ্ঞাপনের মত ডুবে যাচ্ছে লাক্সের বাথটবে, কেননা উপায় নেই৷

চোখ 2003

গ্র্যান্ডের লিফটে৷ দীর্ঘ যাষনাপথ, কেননা থেমে গেছে মাঝপথে৷ হু হু শীত, রেইনি অ্যারোসান মনে করিয়ে দিচ্ছেন আই এস আই এর লাইব্রেরি, মানুষ প্রশ্রয় দিলে মাথায় ওঠে- টাইপের পোস্টার তার মাথা মুখে ছাপানো, শ্রীরাধা তার সম্পুর্ণ শাড়িটাই মধ্যমায় পেঁচিয়ে ফেলবেন যেন৷ সেরাতে গান গাওয়া শেষ হলে পিয়ালী সৌমিকদের সাথে হেঁটে হেঁটে ফিরে যাব বৌবাজারে রাত একটা বা দুটোয়৷ রাতের শয্যা রেডি৷ পায়রার মত আব্দারে, তার তো এক্ষুনি বেরুতে হবে,

না না না৷

পরদিন সকালে ফোন, ফ্লাইট মিস৷ আমি আর এ তল্লাটে নেই৷

চোখ 2005

শুধু চোখ, পর্দা আকাশ জুড়ে শুধু চোখ৷ চোখগুলি বিছানাময় ঘরের দোয়ালে, মুদ্রাস্ফিতি যেন৷ মাঝে মাঝে পাহাড় ভেঙে চুরে যায়, স্ক্রিনসেভার জুড় ফুটে ওঠা চোখ৷ Y2K অথবা ক্রমে সেক্স আসিতেছে, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য এক লহমায় অপসৃত করেন কাজলের মুখাবয়ব৷ বিন্দুপাতনে, অস্থিরতায়, টাইট্রেশানে গোলাপী ধীরে ধীরে হয়ে যাচ্ছে সাদা খাতা, রাধার আর বাঁশি শুনে কাজ নাই৷ সিগারেটপুচ্ছেরা জোড়া লাগ, পেখম মেল, ফার-টার হয়ে ওঠ ঐ দুরের পাহাড়ে, এখন তার সাথে কোন কথা নেই৷ শুধু চোখ,না না না, যন্ত্রনা, স্বেদবিন্দুগুলি ভরে ফ্যালো বেলজিয়াম জারে, ডেকোনা তারে, ডেকোনা, বিজি, বিজি, বিজি, ঘটাং ঘট, চালু হল লিফট, সম্পাদনা কক্ষ প্রস্তুত, দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি, ফিরে যেতে হবে, স্মৃতিটির কাছে৷

সুনিদ্রিষ্ট স্মৃতি এইভাবে কি ফিরে পাবে তুমি? আয়তক্ষেষন কিসের সমন্বয়? নীল শাড়ি ও স্ক্রিনসেভার? ক্রমান্বয়ে ডিঙাও পাহাড়, শরশয্যা পেতেছি সমতলে, করতলে আমলকিবত্, লাট্টু ঘোর স্মৃতি, রেডিয়ামে জ্বলে ওঠ দুর্নিবার ঘড়ির কাটা, এই পথে ওতলাবাড়ি, Riতুপর্ণা, চালসা৷ গড়িয়ে দাও জলের বোতলগুলি, মেঘ৷ সারস ও তোমার প্রিয় গাছেরা, পলিথিন প্যাকেটগুলি উড়ে যাক হাওয়া পেলে, মৌনতাই শ্রেয়৷

পুনর্বার জন্ম৷ প্রতি কথা শেষ হয়, পড়ে থাকা ট্রাক, খুলে যাওয়া চাকা, সাজাব যতনে৷ কথা কথা কথা৷ একপাহাড় কথা ছিল, চোখ খোলা? না উচ্চকিত জলাশয়, শাড়ি ভাঁজ গন্ধ ছিল, মিউজিক ফাউন্টেন , ঘাস ছিল চাঁদ ছিল, কথার কাজল, গান ছিল, হর্ণ ছিল বিকেল পাগল, জল আসে বাঁধ দেয়, কতিপয় ঝিল, কথা আসে কথা যায়, নেটওয়ার্ক মুশকিল, সিটি বাজে, টয়ট্রেন নেই কাছে, সকাল টিফিন, পাহাড়ে মেঘ ধর চোখেরা কঠিন৷ ফালি রোদ বিছানায় ছটফটে ঘড়িটায়, কাজ নেই কোন, অলস দুপুর যেন জিহ্বাময় সঙ্গিসাথি কতিপয় কথা নেই কোন...


সুমেরু

চেন্নাইএর চিঠি

... এসেছি এই ঢের, এমন চাটুতে সপসপে হতে-হতে গো-মাংস,চুলে ঢলে পড়া পুস্পবলাকা, হংসিনী পশ্চাৎ

মন্দিরে প্রবল ঘন্টাধ্বনি ,রবি বর্মার ন্যায়, রমনীকূল ওলিওগ্রাফ হয়ে যান, টয় গোছের বাস, জ্যাম দেখলে মনে পড়ে সন্ধ্যা নামছে,রাজনীতির মার-প্যাঁচে প্রসাদ ষ্টুডিওর বাইরে নিয়ত বদলে যাচ্ছে মোমবাতির মত হিরো-হিরো-ইন সমগ্র...

টাল-মাটাল হয় রাত, সকাল মানে জেগে ওঠা , হোটেল লাগোয়া বালিকা বিদ্যালয়, ঘরে ধত্ধতে সাকুরোভের লষঢ়বনক্ষ তশধ ড়ষশ, একটু পরেই কিছু দক্ষিনী চ্যানেলের দেহ বিভঙ্গে গানে ,রাতে রাত মেশে, বীরেশ চ্যাটার্জীর ফিল্ম না দেখে, ফিরে এলে আনন্দই হয় সহসা,ছুটে যাও হলুদ অটো, বিশাল ক্যামেরা bolex চোখের সামনে ভেসে উঠছে animation মত ...

সুমেরু