Wednesday, July 04, 2007

ওয়ে ওয়ে ওয়াইনওয়ালী


রেড না হোয়াইট?প্রভূত সংকল্প নিয়ে প্লেন উড়ে গেলে, নিকষিত কামিনীভোগ গন্ধটি নিয়ে, সে এক রাত বটে! চারপাশ হয়ে থাকে মধুমেহ নদী।


পা আটকে আসে , ঘুমের মত।সে দুটো ছিল সিগারেটের নাম, কাঁচি-কাহিনীর পর, ছোট বিরতির ছেলেবেলা।


রেড না হোয়াইট?


সে দুটো রঙ মিলে গেলে আরো একটু বড় হয়ে যায় চারপাশ, সে এক স্কুলের ঘন্টা, আর সাইকেলের একরত্তি টিঙ টঙ।


ফুলের পাপড়ি খসে, বারান্দার ছোট্ট টবে নাইন -ও- ক্লক, লাল বা সাদা।


কখনও সেটা দেশান্তরী হয় শহরজুড়ে বা বোতলে বোতলে, কোকাকোলা।


রেড না হোয়াইট?এতক্ষণে বুঝতে পারি তার প্রশ্ন, এই ভরদুপুরে আর অন্য কিই বা কে খেতে আসবে এই গ্রামীণ পানশালায়?

এখন শব্দেরা


এখন শব্দেরা অনেক উঁচু উঁচু দেওয়াল থেকে লাফিয়ে পড়ে বাস ও ট্যাক্সির শব্দ, হর্ণ কেবল হর্ণ একরাশ জোনাকীর মত ছেয়ে যাওয়া মাথার ভিতর রোদ্দুর ঢুকিয়ে দেয় পিচগলা রাস্তা দিয়ে হুঁশ হাশ ছুটে যাচ্ছে বাস, ঘড়ির শব্দ কান পর্যন্ত পৌঁছায় না


এখানে শব্দেরা এমনি এমনি ঘুরে বেড়ায় রাস্তা ছাড়িয়ে আকাশ অব্দি পৌঁছানোর আগে কাকের ডাক হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, ঘর, জানালা, সর্বত্র পাখা ঘুরছে, পাশের ঘরে র‌যাদা টানার শব্দ, একটু আগে থেমে যাওয়া গান সব যেন রেসকোর্সের রেলিং হয়ে বেঁচে আছে, বরশা বেঁধানো কলকাতায়


কলকাতা এখন একটা শব্দ নন্দীগ্রাম নন্দীগ্রাম ধ্বনি তোলা কিছু গান মাত্র বেজে যায় খবরের কাগজের পাতা ছেঁড়া গান, কবীর সুমন গান বাঁধেন অক্টোপাসের মত সমস্ত শব্দ এখন রাস্তা ঘাট হয়ে গেছে আমার চেনা নাম, পাল্টে যাওয়া রাস্তা ঘাট জুড়ে ঝকঝকে হাসছে রোদ ও শব্দেরা আমার জানালার ভিতর ও বাইরে নিয়ত ঘর বাড়ি নিয়ে খেলা করে চলেছে এখন কলকাতা