Sunday, August 15, 2010

জটিল জটিল জটিলা

হলুদ পানিতে স্নান করেছে উপত্যাকা। আমগাছে আজ মেরুন পাতা, শীতল নাভির মত, চারপাশে আমরুৎ কান্ড, ভারী কোমল।একটা হরেকরকম্বা পাখি, পিচ্চি, ভায়োলিনের মত ডানা কাৎ করে উড়ে বেড়াচ্ছে জানালা বরাবর।

তব্যে?

আমার জানালা। আমার জানালা, আমার রৌদ্রাহত জনালা, সে ধর্ম পুস্তকের মত ভারী আর সবুজ। কাঁচের এপারেও এখন জটিল জলপাই রোদ, মৃত প্রজাপতির মত পড়ে কিছু আসবাবপত্র ও আমি।

একটা হৃৎপিন্ডের মত গিটার দুলছে রবী থাকরের (ঠাকুর, ঠাকুর, ঠাকুর পাপ নিয়ো না যেন) গানে, পেন্ডুলামের ইস্টাইলে দেবব্রত। এই গরমে বর্ষার গান ঘর থেকে বেরিয়ে পিছলে চলে যাচ্ছে আমপাতার গায়ে, সে ভিজেও যায় নিমেষে।

হিসাবভক্ষক

কড়া সেক্স,হিসাবে টুইংকেল টুইংকেল ফাইভষ্টার বেদনাকুকুরগুলো বামদিক ঘেসে আর এক গন্ধবেদনা ছাতিম গাছ ঠিক মাথার উপর রূদ্রাক্ষ নিয়ে আকাশে তারা সাজাচ্ছে ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি গান, আর আমি লিখছি পোড়া অক্ষরমালা নিদারুন ফন্টে বকুলফুলের মত, সব ফাঁক ফাঁক; এবার এইটুকু লেখা থাক
দ্যাখ কেমন জাগেদ্যাখ কেমন জাগে

মে দিবসের রাতে মহান হয়ে উঠতে যেমত তরঙ্গ বাজিল, ফুলছাপ আয়নায়, কতকথা, রসিকতা সব সেই আকাশেতে মিশে দাদ-হাজা-চুলকানির পূর্ব লক্ষণ মত U/A গানগুলি হরপ্পার ভাঙা মাটির পাত্রে দামী হয়ে উঠছে, বিষক্রিয়ায় কোলাহল বার্ণল , আহা চারটে খেজুর গাছের মত আহা কি দারুন দেখতে, চোখ দুটো টানাটানা, ঝিগাতলা, পিলখানা, খুললে খাপ কেউ পাবিনা তাই কেবল লিখে রাখা, চন্দ্রবিন্দুর গান এখন বাজছে, ধানমন্ডি একটা:ছাব্বিশ

লিখছি আমি, লিখছি অতর্কিতে একটা আকাশ আমি লিখছি পূর্বশর্তে গাছের তলা এখন একটা নেহাত বিছানার চাদর চাঁদ ঘড়ি, নোটের বান্ডিলের মত ইঁটগুলি দেওয়ালে বেরিয়ে, তারা হাসছে রাতের তোড়িতে সেক্সি সেক্সি মুঝে লোক বোলে, আর তোর নাক বোচা, চোখ ট্যাঁরা, তোর ডিভিডি আমার সপ্তডিঙা মধুকর, চান্দসওদাগর সব গল্পের চরিত্র, না তোর হোল না, না পেলাম তোকে, আর আমাকেও তুই পেলি না যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে, লে লে লে গুরু মিছরি দানা,(স্ন্যাপশট) কিছু রঙ দিও ( দেবব্রত)গানখানা উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার থেমে গেলে আমি আর লিখব না নাচছে তারা নাচছে, হাসছে আমার বকুলফুল

তোমার বালিশে প্রজাপতি বসে নেই

হৈ চৈ। বৃষ্টি নামল আদর হল দোয়েলের ডানার মত , যা ছিল ফসল চলে গেল সেই সুমনের গানে। তুমি গান গাইলে। ব্রুনো ইন্ডিয়া, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভ্রমে বিয়োজিত তার ফুসফুস নিয়ে। কফিল ভাইএর আ্যলবাম সেই ঝুলে রইল, ঋষিকেশ-হরিদ্বারের মত।

শুয়ে পড়ার আগে বইগুলো সরে সরে গেল দিকভ্রান্ত এক বিছানার চাদরের ওভারটেকে সোরগোল, কাঁচা আমের মত রঙে কাটারিভোগ ভাত, ঘুম আসে সে কচি ধানক্ষেতের মত আরামে, এইবার যশোরে ধান হয়েছে অনেকদিন পর। খ্যাক খ্যাক লড়াই চলেছে কত আর গান গাওয়া, যেন ওয়াটারে কালার ছড়াচ্ছে, সেই ঝড়-বৃষ্টি ও পরেশ মাইতি। লেখার এই পর্যন্ত বারান্দা উড়তে উড়তে চলেছে নাচতে নাচতে পাশপোর্টের বোতল, ডাকুক তাকে ডাকতে থাক, বাতাস তাকে খোঁজে এমন নীল রঙ, কে মিস করবে?

বালিশের কভার, নীল রঙ, হালকা সবুজ বাটি ছিটে, প্রজাপতি প্রজাপতি। আমার যে ঘুম কথায় গেল? আলো জ্বালাই, সে ঘেমে উঠছে। আয়নার কাঁচে শুধু নীল, তিক্ত মরিচিকা এক, শুধু নীল রঙ। কোন প্রজাপতি বসে নেই।

সেই সিরাপ খেয়ে জিরাফ হল বেগুনি আতাগাছ

পাতা নং-০৬

ধর্ম পুড়তে পুড়তে বেগুনি হয়ে যাচ্ছ যাচ্ছেতাই, আর মরে যাওয়া সিগন্যালের মত এক বিষন্ন বিস্তারিত আতাগাছের তলায় পুলিশেরা টাকা কেড়ে নিয়ে ডাইলের বোতল দেয়। সবাই খুশি তাই নদী হয় কেউ, রাত বাড়লে ঢেউ।
জিরাফজিরাফ
পাতা নং-৫৮

আমি পায়ে টের পাচ্ছি অদৃশ্য ঘুঙুরের, আমার মুখময় রঙ। আমার যেন আতাগাছ হওয়ার কথা ছিল আজ রাতে। যেভাবে পানি সামান্য আলোয় চিকচিক করে ওঠে অপরিচিত শব্দে সুতলি সাপের মত, আমার গলার ভেতর নেমে যাচ্ছিল এক নদী, হৃদয়ের কাছ বরাবর ভাগ হয়ে গেল পদ্মা আর গঙ্গায়।

পাতা নং-১১২

আমি পড়ে রইলাম আতাগাছের নিচে, আসলে তার সাথে আমার অনেক কথাই ছিল। গাছে কোন পাতা নেই একঘেয়ে বেগুনি রঙ ছাড়া, তাই বিনিময় হয় না নিস্তবদ্ধতা ছাড়া অন্যকোন জলবায়ু সমাচার। চুপ করে থাকায় রাত্রি বেড়ে চলে, একটা, দেড়টা, দুটো । এই পর্যন্ত গল্পে জমতে শুরু করেছে কয়েকজন বন্ধুর লাশ, আতাগাছে সুতো দিয়ে বাঁধা কতগুলি ডাইলের বোতল ঝুলছে, একসুতো আলোয় দুলছে। গাছ তো বেগুনি হবেই আমার মত অথবা নিতান্তই বিধর্মী জিরাফ।

লং লেন্সে দুপুরমালা

কারামেন জঁ লুক গোদারমাই ব্লুবেরি নাইটস, ওয়াং কার ওয়াই এক চ্যানেলে শব্দ এল, অন্যটা মা গা রে সা বত্রিশের ঐ মাথায় ফরম্যালিন মুক্তির পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম আমের হলদে রঙ, অন্তমিলে গাছের পাতার ভেতর আমাদের রবিশঙ্করের মেয়ে সে ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেল জুনিয়ার ল্যবরেটরি ইস্কুলের সামনে সেই জন্য ডাবওয়ালা দাম বাড়িয়ে দিল পাঁচটাকা
লাল অলসতালাল অলসতা

কিস্কিন্ধ্যা থেকে ফেরার পথে হলুদ রোদ্দুরকে আম-আম লাগলো কোন একটা বাস সার্ভিস নাম দেখাল রাজশাহী, কি যে হসচ্ছে

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হাঁটলাম উনিশ অবধি এদিকে আবার কাদারভাইএর ডিউ হওয়া চাপ আবহনী মাঠ পেরিয়ে উড়ে গেল সুগন্ধ বরাবর ঝিরিঝিরি অশোক গাছ, আর এদিক ওদিক সাদা অ্যাপ্রন পরা মেয়েরা কতগুলো হাসপাতালের বোর্ডের সামনে দিয়ে হেঁটে গেল সারাটা দুপুর

তার আর পর নেই, দুপুর শেষ হল কাঁচের ওপাশে, আর সেই আমগাছ যেটুকু নকশা দিতে পেরেছিল সব সমেত ঢুকে গেল বিচ সঙে ক্যারাবিয়ান, হুলা লা লা হু লে ও ফেসবুকে তখন দুপুর চলছে আমগন্ধহীণ নো ভন ভন, মাছি-টাছি বাগানের দিকে তাকাতেই দেখলাম সার সার রোদের কবর

দুইদিন বাদে গরম উর্ধগামী ঠেলার সাথে মাটিতেও বিছানো তরমুজ, ৮০/১০০, চার পাঁচটা ইন্ডিয়ান সবুজ বা ভিরিডিয়ান কাজ না থাকলে মানুষের যা হয়, কিছুটা ধানমন্ডি ঘুরলাম রিক্সায়, জ্যামে জ্যামে তথৈবচ বাকিটা তাই লম্বা সেই শার্সির ওপাশ থেকে, বিদায় ও শয়িত কবরের মত আরামে ভাবটা, খুব স্মার্ট হয়ে যাচ্ছি দিন দিন, কাঁচের ভেতরে যে দেওয়াল আর রাস্তা; তাতে এখন আরো কিছু অ্যাপ্রন পরা মেয়ে, তাদের কিন্তু ডাক্তারই মনে হচ্ছে

গরুগুলির সন্ধানে এবার বাংলাদেশে

দুইপাশে হলুদ বান ডেকেছে, আমরা ছুটে বেড়াচ্ছি; যেভাবে বেঁচেছে গরুগুলি অথবা অনন্ত সময় ধরে ঝরে পড়ছে ইউক্যালিপ্টাসের পাতাগুলি, দিনগুলি, শীতের চাদর বিলম্বিত ধূলার উপর বিস্মৃত শয়নে এবারের বগুড়া যাত্রাটা নেহাতই গরুগুলির জন্য আকবরিয়া গ্র্যান্ডে ট্যাংরা, বাতাসি, ইলিশ মস্ত কাতল, রুই আমরা খাইতেই থাকিব, নাজের নতুন বারটি নোটন নোটন করে ডাকিতেই থাকিবে

ভোরের যমুনায় প্রায় মুহ্য সেরিয়া কান্দি, খেঁজুর গাছ নেই, ফলে কাহারও বাড়িতে খেঁজুর রস তৈয়ার হয় না যমুনায় দু-একটি বক ও নৌকা চরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতিসে লাল শাড়িতে কেউ কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়ার আগে দেখে নিচ্ছে সেরিয়া কান্দির ফেলে যাওয়া শিশিরস্তব্ধ কেটে রাখা ধানগাছ, লাউশাকের বাড়ি, ছালায় ঢাকা গরুগুলিকে

আবার ফেরার পথে টাঙাইল মির্জাপুরে কালিদাসের দোকানে দই আর সন্দেশ, আবার ফেরার পথে দুই পাশে হলুদ নদী, হলুদ রোদ্দুরে গরুগুলি সাঁতার কাটছে ফোঁটায় ফোঁটায় দুধ অশ্রুর মত জেগে আর গরুগুলি হেনরিয়েটার সরূপ ঘাস খেতে খেতে খেতে খেতে একপেশে বাল্য রচনার মত প্রেরণা হয়ে উঠছে