Saturday, September 09, 2006

সবুজ দ্বীপের রাণী



আসলে তোমরা যেটাকে সিগণ্যাল বলে ভাবছ সেটা আসলে কিছুই নয় ঠিক, বাইরে যেরকম ছড়ানো আছে সবুজ, সেই হিমশিতল জলে সেক্সপিয়ারের নারী ধীরে ধীরে ঢুবে যাচ্ছে ৷ আমার করুণা হয় সেই টাইমারের কথা ভেবে, নিকষ কালো অন্ধকারে লাল বাল্ব আর জেগে আছে জীবনানন্দের ছবি ৷ বিড়াল কখনও উঠবার চেষ্টা করে চেয়ার বরবর, কেবল আঁচড়ায়, জনান্তিকে ইঁদুরের কথা মনেও পড়ে না তার ৷

সবুজ সেই ঢেউ ছিল মানচিত্রের সীমানা বরাবর ৷ আমাদের মত ছিল কিছু জাল পেরনো মাছ ৷ দীঘল ঢেউ টানা সমুদ্র ছিল মানুষ বরাবর ৷ ধরি না মাছ ছুঁই পানি করে ছুঁইয়ে যেত, ভেঙে দিত বালির ঘরবাড়ি, কিহু সবুজ এসে ভেঙে দিলই বা, আমার করুণা হয় না ৷ আমার মনে পড়ে না সেই ক্যালেন্ডারের ছবি, রবীন্দ্ররচনাবলীর চতুর্থ খন্ডের মলাট ৷ আসলে কতগুলি ইউক্যালিপ্টাসের এফ টিভি মার্কা পাতা দ্রুত লুকিয়ে ফেলছে তার ক্ষত ৷

সবুজ ছিল তার পোষাক, তরমুজের মত গভীর তার শাড়ি ৷ আঁচল মেলে দিলে ফুটে ওঠে একাডেমি অফ ফাইন আর্টস, ধীরে ধীরে ৷ তার চুল, আমি জানি না কখন কুরুর সিংহাসনের চাইতেও তীব্র হয়ে ওঠে ৷ তার সেই চুল এমন, হাবে ভাবে একটা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একটা গাছকে নিয়ে চলে যায় ৷ গাছেরা পড়ে থাকে ড্রামের মত ৷ কিছু আওয়াজ , কিছু নাভি:শ্বাস জড়িয়ে থাকে সবুজ বর্ণের সেই এক শিফন শাড়ি যার নম্বর কেবল জানে সেই ডিজিটাল ডাইরি , যদিও তাতে ব্যাটারির কোন সাড়া নেই ৷

যে ক্রসিংএ এসে দাঁড়াতেন কমলকুমার, আমাদের স্বর্গবাসের প্রথম প্রহরের কথা মনে হয়, বাঁক খাওয়া যন্ত্রে নেওয়া হয় জুতোর মাপ ৷ চল্লিশোর্ধ নতুন গল্পকার বইয়ের তৃতীয় পৃষ্ঠায় ফোন নম্বর দেন এসটিডি কোড সহ ৷ কোন এক মফ:স্বলি বইমেলায় দেখা হয়, শুধু বইয়ের তাকবদল, এমনই বদলায় র ঙ, যে রাতে অনামিকা লেকগার্ডেন্সের বাড়িতে আসে, উষ্ণ রাতে তাকে গড়িয়ার অটোয় তুলে দেওয়ার সময় খেয়াল হয় কালো শালের গভীরের ক্ষত, আসলে আরও কিছু ধোঁয়া ঢেকে দিয়ে যায় সব, সেই গড়িয়ার বাড়ি, ফ্ল্যাটের দরজায় আটকে দেওয়া গ্লু লাগানো প্যাড, বাতাসে শুধু ওড়ে , যেন বাতাসই কেবল জানে উড়ে যেতে ৷ আরও কিছু পালক উড়ে গেল, তার র ঙ খেয়াল করলাম না শুধু মনে রইল উড়ে গেল এই বরাবর ৷

সবুজ অট্র কথা মনে হয়, সি এন জি লেখা, যেন তাতে ধোঁয়া নেই, কোন স্মৃতি নেই ৷ কেবল সবুজ আছে রুলটানা, এমন রাস্তা ; প্রত্যেক শহরেই এখন গড়ে উঠছে ফ্লাইওভার, প্রচন্ড ব্যস্ততায় চলছে কাজ, চলুক তাতে ক্ষতি নেই, যানজট, সবুজ গাছ ঢেকে যাচ্ছে ধুলোয় ৷ হারিয়ে যাচ্ছে কুয়াশায়, দীর্ঘ সবুজ বালি ৷

নয়ডা ৷ ৩৷২৷২০০৪

1 comment:

Samran said...

নয়ডাতে থাকাকালীন প্রচুর লেখালেখি করতে বুঝি?