Saturday, June 17, 2006

রাধার আর বাঁশি শুনে কাজ নাই


December 24, 2005/ siliguri

...সাপ,দীর্ঘ ঘুমের ময়াল সাপ কেন খোলস ছাড়ে, দীর্ঘশ্বাস, খোলস বা খোলনলচে পাল্টে আপাতত পিচের রাস্তা, আরে যত রামকুমারের ল্যান্ডস্কেপ দেখি, সুনসান, রাস্তাতেও অলক্লিয়ার৷ হ্যাঁ সব রাস্তাই এখন স্মৃতি৷ স্মৃতিমানকালে সাজিয়ে দেওয়া মার্কাগুলি, হঠাত্ জমে ওঠা দেশলাই খোলগুলি, জাহাজ পুকুর বা দুধেল গাই, আমি যে রিক্সাওয়ালা গো৷

স্মৃতি তাই পাহাড়, দুরে সাজানো সন্দেশ, থরথর, মরুভুমি আলোকপ্রাপ্ত হয় তপ্ত হয় এমন উদ্ভাসিত স্মৃতি পরজন্মের জন্যেও তোলা নেই কোষাগারে, কূবের সন্ত্রস্ত হন, বিকষিত হেম, হেম ফোঁড়গুলি, পাহাড় সূচিত হয় সুতির চাদরে৷ বিরল মেঘগুলি আনাগোনা করে, পাহাড় কেবলই স্মৃতি, দীপশলাকা অগ্রভাগে চুম্বন করি এসো, ক্ষণ তিষ্টকাল, উড়ে যাক ধবল বক ঐ জেট গতিপথে, মায়াচ্ছন্ন নীল, সাদা ধোঁয়া তুলি টান, খানখান, ছিটানো, অস্থির, চোখগুলি৷


চোখ 2000

... চলচ্চিষন উত্সব চলছে, হেঁটে হেঁটে বেকবাগান অব্দি যাব, স্কাই বাংলার অফিস সুতরা ংযাষনাপথ টানেস্কু প্রবল, সংকোচের ও বিহ্বলতায়, এডিটিং কক্ষের ঠিক বাইরে একাকি শয্যায় শ্রীরাধা৷ তার পেটটা কি ভয়ানক কামড়াচ্ছে, সেরাতে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নাকি কোন উপায় নেই৷ উপায় নেই, উপায় নেই৷ এডিটিং ? উপায় নেই , উপায় নেই৷ কি কাজ, এডিটিং রুম, শব্দে শব্দে এ সি, কুমির-ডাঙা, উপায় নেই, উপায় নেই৷ সেই রাতে, উপায় নেই, উপায় নেই৷
বসে থাক, দ্যাখো রে নয়ন মেলে, বস্তুত, উপায় নেই, উপায় নেই৷ মেলতে গেলেই আয়তক্ষেষন, তার নীলরংআ শাড়িটি কেবল আকাশ বলেই ভ্রম হয়, দেহাংশ রাতের তারা বিজ্ঞাপনের মত ডুবে যাচ্ছে লাক্সের বাথটবে, কেননা উপায় নেই৷

চোখ 2003

গ্র্যান্ডের লিফটে৷ দীর্ঘ যাষনাপথ, কেননা থেমে গেছে মাঝপথে৷ হু হু শীত, রেইনি অ্যারোসান মনে করিয়ে দিচ্ছেন আই এস আই এর লাইব্রেরি, মানুষ প্রশ্রয় দিলে মাথায় ওঠে- টাইপের পোস্টার তার মাথা মুখে ছাপানো, শ্রীরাধা তার সম্পুর্ণ শাড়িটাই মধ্যমায় পেঁচিয়ে ফেলবেন যেন৷ সেরাতে গান গাওয়া শেষ হলে পিয়ালী সৌমিকদের সাথে হেঁটে হেঁটে ফিরে যাব বৌবাজারে রাত একটা বা দুটোয়৷ রাতের শয্যা রেডি৷ পায়রার মত আব্দারে, তার তো এক্ষুনি বেরুতে হবে,

না না না৷

পরদিন সকালে ফোন, ফ্লাইট মিস৷ আমি আর এ তল্লাটে নেই৷

চোখ 2005

শুধু চোখ, পর্দা আকাশ জুড়ে শুধু চোখ৷ চোখগুলি বিছানাময় ঘরের দোয়ালে, মুদ্রাস্ফিতি যেন৷ মাঝে মাঝে পাহাড় ভেঙে চুরে যায়, স্ক্রিনসেভার জুড় ফুটে ওঠা চোখ৷ Y2K অথবা ক্রমে সেক্স আসিতেছে, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য এক লহমায় অপসৃত করেন কাজলের মুখাবয়ব৷ বিন্দুপাতনে, অস্থিরতায়, টাইট্রেশানে গোলাপী ধীরে ধীরে হয়ে যাচ্ছে সাদা খাতা, রাধার আর বাঁশি শুনে কাজ নাই৷ সিগারেটপুচ্ছেরা জোড়া লাগ, পেখম মেল, ফার-টার হয়ে ওঠ ঐ দুরের পাহাড়ে, এখন তার সাথে কোন কথা নেই৷ শুধু চোখ,না না না, যন্ত্রনা, স্বেদবিন্দুগুলি ভরে ফ্যালো বেলজিয়াম জারে, ডেকোনা তারে, ডেকোনা, বিজি, বিজি, বিজি, ঘটাং ঘট, চালু হল লিফট, সম্পাদনা কক্ষ প্রস্তুত, দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি, ফিরে যেতে হবে, স্মৃতিটির কাছে৷

সুনিদ্রিষ্ট স্মৃতি এইভাবে কি ফিরে পাবে তুমি? আয়তক্ষেষন কিসের সমন্বয়? নীল শাড়ি ও স্ক্রিনসেভার? ক্রমান্বয়ে ডিঙাও পাহাড়, শরশয্যা পেতেছি সমতলে, করতলে আমলকিবত্, লাট্টু ঘোর স্মৃতি, রেডিয়ামে জ্বলে ওঠ দুর্নিবার ঘড়ির কাটা, এই পথে ওতলাবাড়ি, Riতুপর্ণা, চালসা৷ গড়িয়ে দাও জলের বোতলগুলি, মেঘ৷ সারস ও তোমার প্রিয় গাছেরা, পলিথিন প্যাকেটগুলি উড়ে যাক হাওয়া পেলে, মৌনতাই শ্রেয়৷

পুনর্বার জন্ম৷ প্রতি কথা শেষ হয়, পড়ে থাকা ট্রাক, খুলে যাওয়া চাকা, সাজাব যতনে৷ কথা কথা কথা৷ একপাহাড় কথা ছিল, চোখ খোলা? না উচ্চকিত জলাশয়, শাড়ি ভাঁজ গন্ধ ছিল, মিউজিক ফাউন্টেন , ঘাস ছিল চাঁদ ছিল, কথার কাজল, গান ছিল, হর্ণ ছিল বিকেল পাগল, জল আসে বাঁধ দেয়, কতিপয় ঝিল, কথা আসে কথা যায়, নেটওয়ার্ক মুশকিল, সিটি বাজে, টয়ট্রেন নেই কাছে, সকাল টিফিন, পাহাড়ে মেঘ ধর চোখেরা কঠিন৷ ফালি রোদ বিছানায় ছটফটে ঘড়িটায়, কাজ নেই কোন, অলস দুপুর যেন জিহ্বাময় সঙ্গিসাথি কতিপয় কথা নেই কোন...


সুমেরু

No comments: